মোঃ রাশিদুল ইসলাম | মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের কাছে দেখা যায় স্মার্টফোন। এসব স্মার্টফোন ফোন দিয়ে কেউ ভালো কাজে আবার কেউ মন্দ কাজে ব্যবহার করছে। আবার অসাধু শ্রেনির লোকেরা স্মার্টফোনের অপব্যবহার করে জুয়াড় আসর ও বসাতে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন।

এসব স্মার্টফোন আবিষ্কারের ফলে যতটা সুবিধা হয়েছে ঠিক ততোটা অসুবিধা ও বয়ে এনেছে। বর্তমান সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলবতি শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে এখন স্মার্টফোন। এসব ফোনে বিভিন্ন সফটওয়্যার এ্যাপস এর সাহায্যে গেমস খেলাসহ নানা ধরনের শিক্ষামূলক বিভিন্ন কাজ করা যায়। সম্প্রতি শিক্ষার্থীরা ফ্রি-ফায়ার,পাবজি,লুডু,ক্যারাম ইত্যাদি এ্যাপস এর মাধ্যমে গেমস খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েছে।বিভিন্ন জায়গায় তারা এই গেমগুলো টাকার বিনিময়ে খেলছে।

এ বিষয়ে শিক্ষক রাশেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ঘরবন্দী হয়ে গেছে। এবং মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এই কারণে ডিজিটাল জুড়ায় আসরে ঢুকে পড়েছে। স্কুল চলাকালীন সময়ে দেখতাম ক্লাসের ফাঁকে শিক্ষক শিক্ষিকারাও সময় পেলে শিক্ষার্থীদের সাথে লুডু খেলায় মেতে ওঠে।

এ নেশায় শুধু শিক্ষার্থীরাই আসক্ত নয়,উপজেলার গ্রাম গঞ্জেের বিভিন্ন শ্রেনির পেশার মানুষেরাও দিন দিন আসক্ত হয়ে পড়েছে। জনপ্রিয় এই এ্যাপসগুলো ব্যবহার করে গ্রামঞ্চলে সন্ধ্যাবেলা চায়ের দোকানে, রাস্তার মোড়ে,পুকুর পাড়ে,ঝোপের ঝাড়ে, নির্জন স্থান বেছে নিয়ে খুব সহজেই একটি চক্র প্রায় দিনই জুয়াড় আসর বসাচ্ছে। এ জুয়াড় আসরে আকৃষ্ট হয়ে নিমিষেই হাজার হাজার টাকা হারাচ্ছে জুয়াড়িরা।গ্রামীন যুবকরা ঘন্টার পর ঘন্টা কাজকর্ম বাদ দিয়ে সময় কাটাচ্ছে জুয়াড় আসরে। ফলে একদিকে অর্থ অবচয় অন্যদিকে সময় নষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে যুবসমাজ এক সময় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে।

এ বিষয়ে সচেতন মহল জানান, এসব জুয়ার বিষয়ে অতি তাড়াতাড়ি সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, না হলে ভবিষ্যৎ সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে।বিশেষ করে ফ্রি ফায়ার,পাবজি,লুডু,ক্যারাম ইত্যাদি জুয়া থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।